- জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-
উৎস |
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ইতিবৃত্ত
একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতিতে পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পাঠ্যপুস্তক তার মনের চিন্তাধারাকে সুগঠিত করে এবং সেইসাথে তার মনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে ধারণ করে পাঠ্যপুস্তক। সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যম পাঠ্যপুস্তক। আজও তা যেমন আছে আগামী দিনেও তেমনি থাকবে।
[info title=" কিছু লিংক" icon="info-circle"]
- NCTB এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- উকিপিডিয়ায় NCTB সম্পর্কে জানুন।
- আমাদের সাইটে NCTB কর্তৃক প্রকাশিত সকল বই সমূহ দেখুন।
[next]
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড কর্তৃক ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্লিখন এবং সেই সাথে একটি নবজাত রাষ্ট্রের জনসাধারণের প্রয়োজনীয় জ্ঞাতব্য বিষয় আধুনিক ধ্যান-ধারণার আলোকে পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশ করা হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালে টেক্সটবুক বোর্ড নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৯৮৩ সালের মধ্যে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের স্থলে মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের কাজ সম্পন্ন করে। ১৯৮৩ সালে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)” মাধ্যমে স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড ও জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্রকে একীভূতকরণের মাধ্যমে বর্তমান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ অনুযায়ী বোর্ডের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও যুগপোযোগী করার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)” সংশোধন ও রহিতক্রমে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮’ বিলটি পাশ হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রশাসনিক কাঠামো ও ব্যবস্থাপনা :
বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ৪ টি উইং যথাক্রমে শিক্ষাক্রম, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও অর্থ যা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ৪ জন সদস্য দ্বারা পরিচালিত হয়। তাছাড়া একজন সচিব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন। ঘঈঞই’র মোট জনবলের সংখ্যা ৩১১ জন এর মধ্যে ১ম শ্রেণির মোট পদ ৭৭টি, ২য় শ্রেণির মোট পদ ২৯টি, ৩য় শ্রেণির মোট পদ ১০৯টি ও চতুর্থ শ্রেণির ৫৯ জনসহ মোট ১৯১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া সেসিপ প্রকল্পের ২০ জন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও প্রাইমারি শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (PEDP-4) ৩ জন কর্মকর্তা সংযুক্ত হিসেবে কাজ করছেন। ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮’ অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামো পুর্নগঠিত হলে নতুন ৪ টি উইং (কারিগরি, মাদ্রাসা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) ও জনবল সংযুক্ত করা হবে।
[next]
বোর্ডের কার্যাবলি :
(ক) বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার
(খ) শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তকের কার্যকারিতা যাচাই এবং মূল্যায়ন
(গ) পাঠ্যপুস্তকের পান্ডুলিপি প্রণয়ন
(ঘ) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও প্রকাশ
(ঙ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন
(চ) ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয় পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন
(ছ) পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ এবং বিপণন
(জ) সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রেণি ও স্তরসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ
(ঝ) পাঠ্যপুস্তক, সহায়ক শিখন শেখানো সামগ্রী, পুরস্কার পুস্তক ও রেফারেন্স পুস্তক অনুমাদন
(ঞ) দান ও অনুদানের মাধ্যমে বিজ্ঞান, সাহিত্য, এবং সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকান্ড উৎসাহিতকরণ
(ট) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন
এনসিটিবি'র প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন
- পাঠ্যপুস্তকসমূহের মুদ্রণ ও বিতরণের ব্যবস্থা
- গ্রহণশিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি
আপনার রিভিও কমেন্ট লেখুন